About Me

My photo
giving a practical view on myself... m a human being with usual dreams of shining in life, getting married to my "dream girl" and live happily ever after ..... and for a true identity I’m a person who is always in a conflict with this materialistic world..... in time of sorrows my ailment is songs of Rabindranath... the rest of the time i spend with my books , music and o’course my camera ... when i cry in pain. drops of tears roll down my face...and i maintain a dead silence.....and when i laugh, I maintain an applauding sound.... unlike sukanto i never saw the moon as a baked bread.....but it seems to be very lonely out there....and i find a fellow mate to whom I can say “so how was ur night” people tells me I’m an introvert..... i tell myself i feel it useless to share my thoughts with this practical world.... i write sentences. virtually of no meanings.. i like to hangout with my friends. the regular addas,, parties with cakes and ales are also what i cherish a lot in my life. but when i return home., completing that day’s journey through the road named life.. I return to my own world.. Whom I name it as the “world of desertion”

Search This Blog

Thursday, January 11, 2024

বন্দী



ধরা পড়েছি দুজনেই সেই মানুষের পাতা ফাঁদে
তোর আঁখিতে বিষন্নতা আমার চোখে কাঁদে
ঝুকে থাকা তোর বিমর্শ মুখ সান্তনা মুখে থামায়
স্বাধীনতা দিতে পারিনি তবুও ছুঁয়ে যাস কেন আমায়?


- ঋতজ্যোতি রায় 

Friday, March 31, 2023

বাষ্প





ঐযে আকাশ মেঘ, ওকে আমি বলেছি
আমার মনের কথা
কিছু টা শুনে একপশলা কেঁদে চলে গেছে।

এখন আকাশে ঝলমলে রোদ
সোঁদা মাটির গন্ধে মিলচ্ছে কথা গুলো
বাষ্প হয়ে।।

-ঋতজ্যোতি রায় 

Monday, February 14, 2022

এপার ওপার

ভালোবাসার দিবস, সোমবার।
সকাল থেকে অফিস এর কাজ গুলো পাতার ওপর ভারী বর্ষার জল বিন্দুর মতন আসছে আর ভার রাখতে না পেরে নুইয়ে পড়ছে একটু একটু করে। 
মনের মধ্যে এক অবাস্তব, অসম্ভব ইচ্ছের জ্বালায় অস্বস্থিকর এক মেজাজ এর সৃষ্টি হয়েছে।
ধরুন এক হেরে যাওয়া সৈনিক , শত্রুপক্ষের সীমান্তের গন্ডি তে আটকে পড়েছে এবং সে জানে আর কিছুক্ষন এর অপেক্ষা তারপরেই সে ধরা পড়বে শত্রুর হাতে এবং হয়তো শাহিদ হবে তার আপনজন দের শেষবারের মতন না দেখেই,অথচ মন কিছুতেই মানছে না এই পরাজয়, বলছে না আরেকটু লড়, আরো কিছুক্ষন, কিছুদিন বাঁচো। সে যে তখন কি করবে বুঝে পায়না... আত্মসমর্পণ না গা ঢাকা দেওয়া না বন্দুক উঠিয়ে অপেক্ষায় থাকা...
তেমনি..
যে ভালোবাসা পাওয়া যাবেনা কোনোদিন নিজের মতন করে, এক প্রকার অসম্ভব, যদি না আল্লাহ তালা, ঈশ্বর, গড এনাদের মধ্যে কেউ কিছু গভীর শড়যন্ত্রের মাধ্যমে তা পাইয়ে দেন, তবে কেনোই বা ওনারা এত কষ্ট নেবেন একজন যেকোনো মানুষ এর জন্যে?
সত্য ভালোবাসে আলো কে।
সে আলোর রোজকার অবহেলা অনুভব করে নিজের মতন কোরে... আলোর রোজকার না পাওয়া গুলোকে পাইয়ে দিতে তার মন একপ্রকার দু-টুকরো হয়ে ছুটে যেতে চায় আলোর কাছে..
দুপুরের খাওয়া টা সে নিজে হাতে খাইয়ে দিতে চায় তাকে একবার... মুখ মুছিয়ে বলতে চায় "শীত করছে "? চাদর টা এনে দেবো? পড়ন্ত রোদে একটু বসবে? তোমার তো রোদে বসতে ভালোলাগে।...."
মনে করিয়ে দিতে চায় অসুধ এর সময় গুলি। কপাল থেকে চুল গুলি সরিয়ে কানের পেছনে এঁটে দিতে চায়.. চশমা টা খুলে পকেট থেকে রুমাল দিয়ে ধুলো ও বাস্পের দাগ গুলি মুছে দিয়ে আবার পড়িয়ে দিতে চায় তাকে.
রোজ হয়তো করবে না। ছেলে রা ওতো "caring" হয়না তবু কখনো সখনো সে যে এইগুলো করতো তা সে জানে...
আলো কে তার ভিনদেশী এক ফুল মনেহয় যার যত্নের খুব প্রয়োজন। তার শুধু সেই ফুলের ঘ্রাণ ই চাওয়া বা পাওনা..
আজ বড়ো চঞ্চল লাগছে তার, ছুটে গিয়ে আলোর হাত দুটো ধরতে ইচ্ছে করছে। পলক হীন দৃষ্টি তে তার দিকে চেয়ে থাকতে ইচ্ছে করছে।
আর রোজকার মতন ইচ্ছে করছে আলোর কথা না ভাবতে। ভাবলে কষ্ট বাড়ে, ক্লান্তি আসে।
একেক সময় মনেহয় তার, ছুটে চলে যাই। লুকোনো থেকে বেরিয়ে এসে লড়ি, আহত হই এই সমাজের beyonet এর খোঁচায়, ধর্মীয় গুলি তে এফর ওফর হয়ে যাক তার শরীর তাও একটি চেষ্টা সে করুক জয় এর। হয়না।
ভালোলাগা যে কখন ভালোবাসায় পরিণত হয়েছে সে তো আর ভেবে রাখেনি...
সত্যের ডান চোখের কোণ থেকে এক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়লো তার গালে । মুছে নিয়ে কাজে মন দিতে চাইলো.. কি জানি আজ কাজ হবে কিনা।
খুব যত্ন করতে চায় সে আলোর... আলোর যত্ন ঠিক করে হয়না সে জানে। সেও আঘাত পায়,সেও বুঁকের ভেতরে খা খা করা শূন্য কে অনুভব করে সত্য সত্যই...
হেডফোনে যেই গান টি চলছে তার গীতিকার সত্যের খুব পছন্দের এক লেখক। গান টাও খুব প্রিয় তার। অদ্ভুত এক শান্তি আছে সেই গানে। এরকম চাপা হৃদয়ের ফেটে বেরোতে চাওয়া অনুভূতি গুলোর বেদনার দিন গুলোতেই সে এই গান টি শোনে.. আলো কখনো সত্যের হবে না সত্য চিরদিন অনুভব করবে না, অসাড় হয়ে পড়বে। পড়ছে। শুধু একটি বার যদি আলো কে বুকে আগলে ধরে তার কপালে ঠোঁট ছুঁইয়ে বলতে পারতো, "কখনো চোখের পানিকে তোমার বেহিসেবি হতে দেবোনা " হয়তো..... 

কানে গান টি বলছে 

"যদি মন কাঁদে তুমি চলে এসো এক বর্ষায় "।

ইতি সত্য - আলো 

Thursday, February 10, 2022

Pehle se kya likha tha... (What might have been destined... ) - Gulzar



Was it fated from the past that on a deserted island
when the sun turns gloomy descending the ridge,
You will meet me at the ruddy golden-lined shores...
and you will slip down towards me in such a way
that it seems the ocean just washed you off the shore
was this our destiny entwined ? or a coincidence

After the sun sets, and its time for the moon to reign,
when the stars flutter like the last breaths of a person
You were longing for my departure so that You can throw
yourself back to the sea...
maybe someone's pain had come to the point of 'visarjan'
but I kept on waiting as I feared the helplessness in your 
eyes might lure the sea to drag you back to her.

That night, the moon appeared quite late,
and you kept on reading your agonies through the pages from your book
and at the same time tore the papers one after another...
the waves of the ocean got covered with those torn pieces...

At the time of bidding farewell, while shaking hands,
the pains were rolling over and over within us
tears were filling up your eyes,
and for my eyes, they too felt getting wet...
What might be the relation between us or the destiny 
that had been already written a long time back.

- Original in Urdu by Gulzar Sahab.

(Translated by Wreetojyoti Ray)

Thursday, February 3, 2022

দুই বুলেভার্ড দূরে



Discovery চ্যানেল টা খুলে রেখেছিলো শর্মিষ্ঠা।
ডকুমেন্টরি তে যা দেখাচ্ছিল তা হোলো পুরুষ দের মধ্যে যৌন চাহিদা এতটা প্রকট ভাবে বেরিয়ে আসে কেন. বক্তা যেই তথ্যটি দিলেন সেটি হোলো অনেকটা এরকম

"During spermatogenesis, your testicles make several million sperm per day — about 1,500 per second. By the end of a full sperm production cycle, you can regenerate up to 8 billion sperm.

This may seem like overkill, but you release anywhere from 20 to 300 million sperm cells in a single milliliter of semen."

অতএব এই manufacturing পদ্ধতি বজায় রাখার জন্যেই পুরুষ দের বায়োলজি ওই রকম.. বক্তা একজন মহিলা ও এই কথা গুলো বলার সময় বেশ হাসি মুখেই বলে চলেছিলেন তিনি একটানা .. শর্মিষ্ঠা বেশ ছোট থেকেই নারীবাদী, তার বক্তা কে দেখে বেশ রাগ ই হোলো এক প্রকার। কেন যেন মনেহলো ওর যে কি অদ্ভুত ভাবে সালেসী করছে মহিলা টি পুরুষ দের হয়ে।

শুধু কি পুরুষ দের চাহিদা থাকে মেয়ে দের থাকেনা! মেয়ে রা সেই চাহিদা নিবারণ করবার উদ্যোগ নিতে পারেনা কোনো ভাবে! নিলেই তার চরিত্রে দাগ পরে যাবে! "ব্লাডি patriarchy".. বলেই সে উঠে দাঁড়ালো..

আজ এক বন্ধুর বাড়ি তে পার্টি আছে whole night আড্ডা আর কিছু খাওয়া দাওয়া..

তার বেশ কয়েকবার "breakup" হয়েছে.. কিছু ক্ষেত্রে ছেলে গুলো কে immatured লেগেছে কিছু ক্ষেত্রে ছেলে গুলো সিরিয়াস ছিল না আর কিছু ক্ষেত্রে দুজনেই যাকে বলে ওই "casual সেক্স stuff"

তার মধ্যে একজন কে তার সত্যি ই মনে ধরেছিলো, বরং তার সঙ্গেই ওই সেক্স ব্যাপার টি ঘটেনি.. ছেলে টা খুবই লাজুক প্রকৃতির ছিল যে। যাইহোক কোন ড্রেস টা পরে যাবে সেই নিয়ে ভাববার আছে।


তাঁদের বাড়ির দুটো রাস্তা পেরোলেই কলকাতার নাম করা এশিয়ার সব থেকে বড়ো নিষিদ্ধপল্লি। নুপুর সেখানকার ই মেয়ে। আজ কাস্টমার নেই সেরকম অনেক দিন ধরেই নেই.. লোকডাউন এর দৌলতে। খুব চিন্তায় আছে। ছোট বোন এর পড়াশোনার খরচা যে করে হোক জোগাড় করতে হবে.. আপাতত গিয়ে ওই fountain পেন আর paperkraft এর নোটবুক টা কিনে আনতে হবে.. বোন এর বায়না অনেকদিন এর।

দোকানে তার যেতে ইচ্ছা করেনা, বাজে ব্যবহার পায় সে অনেক ক্ষেত্রে.. "কি চাই বল তাড়াতাড়ি ".. বা "শোরে দাড়া তো একটু" কথা গুলো ওর খুব গায়ে লাগে। বোঝে কোন জায়গা থেকে কথা গুলো তার দিকে ওরকম তাচ্ছিলের স্বরে আসে, তাই ওই কানা বুবাই কেই ও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আনতে বলে দেয়, আজ যাবে সে কারণ আজ জিনিস গুলো বোন এর খুব সাধের।...

ট্যাক্সি থেকে যখন শর্মী আর ছেলে টা নামলো শর্মীর বেশ নেশা হয়ে আছে ছেলেটিও খুব একটা সুস্থ নয়, ওর মধ্যেই যা হয়ে ট্যাক্সির পেছনের সিট এ একটু দুজন দুজন কে স্পর্শ করা কিছু স্পর্শকাতর অংশে.. কিছু চুম্বন, কিছু অন্যরকম আদর.. ড্রাইভার আড় চোখে rear mirror দিয়ে বারবার তাকাচ্ছিলো দেখে শর্মী শুনিয়ে শুনিয়ে বলেছিলো "আজ কাকুর রাতের খোরাক হয়ে গেছে ".. দুজনে বেশ হেসেছিলো কথা টায়.. তবুও ড্রাইভার কাকু যখন দেখলো এদের গাড়ি থেকে নামাতে গেলে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতেই হবে আর তাই নিজে নেমে পেছনের দরজা খুলে দেওয়ার সময় ছেলেটি বলে উঠেছিল "its ok we can handle it " ড্রাইভার কাকু মৃদু গলায় "ok sir, ok mam " বলে ফিরে এসে গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে "goodnight" বলতেও ভোলেননি..

"এত পেন খাতা নিচ্ছিস যে - টিচার হয়ে গেলি নাকি, বাপরে " - খাতা বই এর দোকান এর লোকটা ঠিক এই ভাবেই আজকেও ব্যঙ্গ করতে ছাড়লো না নুপুর এর প্রতি.. খারাপ লাগলো খুবই তাও দুটো জিনিষই পাওয়া গেছে ওনার দোকানে, পেন আর নোটবুক,তাই হাসি মুখেই "আসি কাকু" বলে ধীরে ধীরে আধো আলো আধো অন্ধকার গলি টাই বেছে নিলো নুপুর "বাড়ি" ফেরার জন্যে..



-ঋতজ্যোতি রায় 

Wednesday, January 26, 2022

ঘুম



বেশ কয়েক মাস হলো ঘুম আসতে অনেক দেরী করে। দেওয়ালে ঘোলাটে নীল আলোটা দেখলে আগে যেরকম একটা ঘোর আসতো এখন আর আসেনা... তবে আরাম আনে শরীরে..
ঘড়ি টাও আর টিকটিক করেনা। সেকেন্ড এর কাঁটা টা নতুন ঘড়ি তে শুধু নিঃশব্দে একটানা ঘুরে চলে।
কিছুক্ষন পরেই মনেহয় কান বন্ধ হয়ে আসছে.. পাখা টা চালাই ১ এ দিয়ে, শীতকাল তো.. পাখার ওই আওয়াজ টাই এখন ঘুম এর বন্ধু "synchronous sound" এর কাজ করে।
অনেকের কথা মাথায় ঘুরতে থাকে...
অফিস এর বস, মা আজ কি বলছিলো তখন, কিছু কি আশা করে এসেছিলো ! কাজের মধ্যে খেয়াল করিনি "এখন একটু যাও তো.. মিটিং চলছে " বলে দিয়েছিলাম। আচ্ছা পারমিতার একবারও একটা ফোন করি মনে হয়না? ভুল টা ওরি ছিল। আমার ভুল হলে যে ১০০০ বার ফোন করে ডিসটার্ব করতাম... ওরা কি ডিসটার্ব করতে চায়না কয়েকদিন এর আলাপ বলে.. Tinder এর বান্ধবী টির টেক্সট এর রেপ্লাই করা হয়নি.. থাক এখন অনেক রাত ভুল বুঝবে.. আর ঐযে আমার insta তে যে রোজ কেমন আছেন বলে..কাউকেই উত্তর দিনা, আনসোশ্যাল হয়ে পড়েছি বড্ডো। Matrimonial সাইট এ যারা "লেটস take our conversation forward" বলে রেখেছে তাদেরও ফোন করিনি.. করিনা, ওদের মা'র ফোন করাই বেটার..
যাকে ফোন করতাম(ওর নাম লিখবো না ওকে বেশ ভয় করে আমার ), ভেবেছিলাম আমরা বেশ একরকম, সে বলেছিলো আমি অনেকটা ভিনদেশী ফুলগাছ এর মতন, আমার অনেক যত্নের প্রয়োজন, ও ওতো যত্ন করতে গেলে নিজের যত্নই করতে পারবে না। আমাকে নিয়ে সমস্যা বই সুবিধা কিছু নেই.. কষ্টই আছে। আমার অনেক বায়না যে.. আশা করি আত্মনির্ভরশীল সাথী সে পাবে। ওর সাথে রাতজাগা যুক্তিতক্কো গুলো খুব মিস করি, মনে পড়ে।
ওপারের লেখিকার নতুন বই টা না হয়েছে পড়া এপারের লেখিকার সঙ্গে না হচ্ছে দেখা বই টা নিতে।
কাল আবার অনেক কাজ। ম্যানেজার মানুষ টা রোজ ফোন করে ঘুম থেকে তোলে আমায়, ভেতরে ভেতরে আমাকে স্নেহই করে আমি বুঝি, কিন্তু খুব rude.আরেকটু নরম হলেই পারে.. মানুষ টা খুব ভালো। অনেক লোড়ে আজ এইখানে এসে পৌছিয়েছে,rudeness তো আসবেই.. লড়াই সবাইকে রূঢ় করে তোলে...
মা বাবার সম্পর্ক আর আগের মতন হয়তো হবে না কোনোদিন। শুধু দায়িত্ব টাই রয়ে গেছে ওদের মধ্যে
২০ বছর পুরোনো বান্ধবী টির সঙ্গে ওকোষ্যাৎ এরকম দেখা হবে unexpected ছিল.. না হলেই ভালো হতো, আরো ভালো হতো ওর নাচ এর ভিডিও টা না দেখলে,
আমার হৃদয় যে কত দিকে দিখণ্ডিত কেউ জানলে judge করে বসবে দুশ্চরিত্র বলে। খুব একটা ভুল হবে না. তবে ছোট্টবেলার "crush" তো purity বলতে ঐটাই..
আমার বেস্ট friend দেবলীন টা আর ফিরবে না বিদেশ থেকে ওখানেই সেটেলড সে, ওকেও খুব মিস করি...একমাত্র তনয় রয়েছে সেই ক্লাস 6 থেকে ওকে বেস্ট friend বলা যায়না.. ওর জায়গা অন্যরকম। ও ওই নীল night lamp টার মতন।
সবার জীবনে অনেক যুদ্ধ সবাই লড়ছে, পড়ছে, ভাঙছে। আবার উঠছে আবার লড়ছে। কোনো একদিন সবাই যদি একসাথে মিলে সবার যুদ্ধ গুলোকে এক করে লড়া যেত বেশ হতো.. সবাই, সবাই সবাইকে বোঝেনা যে। বিস্বাস করেনা কেউ কাউকে।..
তাই বন্ধু ফিরবেনা। মা আর কালকে কথা টা তুলবে না। বাবা শুধু ছাদের বাগানে পায়চারি করবে। ম্যানেজার ঘুম থেকে তুলে বলবে এত ঘুমোলে কি করে হবে কাজ টা করে দাও একটু.. Tinder এর বান্ধবী আমাকে attitude ওয়ালা ছেলে ভেবে নিয়ে unmatch করবে। ২০ বছরের মুছে যাওয়া crush নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত থাকবে। লেখিকা রা নিজেদের ব্যস্ত জীবন নিয়ে। দেবলীন আর তনয় ওদের অফিস নিয়ে লড়ে যাবে। আর পারমিতা ফোন করবে না.....

ঘুম আসছে.. কাল রাত্রেও আসবে।

-ঋতজ্যোতি রায় 

Thursday, December 9, 2021

টাঙানো ছবি


বঙ্গপোসাগরে আজকাল মাঝেমধ্যেই নিম্নচাপ সৃষ্টি হচ্ছে... যেন মানুষের মন এর সঙ্গে তার  একটা টান আছে.. আর সেই কারণেই আমার শহর প্রায়ই ভিজছে।
কার্নিশের দিকে তাকিয়ে দেখছি কেমন ছোট ছোট বিন্দু গুলো একে অপরকে আকর্ষণ করে এগিয়ে এসে এক হচ্ছে.. বড়ো হচ্ছে.. ভারী হচ্ছে, আর গ্রিল বেয়ে ধীরে ধীরে গড়িয়ে পড়ছে। আমি এই ক্ষুদ্র জিনিস গুলো বেশ মন দিয়ে দেখি।
অনেক মিল খুঁজে পাই আমাদের সঙ্গে ওদের।
দুটো মানুষ একে অপরকে ভালোবেসে সংসার বাধে, এক হয়, বাসা বানায়, বসবাস করে... আর ভারী হতে থাকে। দায়িত্ববোধে, উপার্জনের অংকে, একেওপরের ভালোমন্দ চিন্তায়. কখন যে তারাও গড়িয়ে পরে নিজেরাও বুঝতে পারেনা।
যদি একটু বিস্বাস, একটু ভরসা আর বেশ খানিকটা ভালোবাসা সেদিনও বাঁচিয়ে রাখতে পারতো তাহলে হয়তো মাধ্যকর্ষণ অতটা নাক গোলাতে পারতো না ওদের মধ্যে। সুসময় তো ভালোবাসা বয়েই আনে সঙ্গে, দুঃসময় যদি একটু গ্রিল আঁকড়ে বেঁচে থাকা যায় জমিয়ে রাখা ভালোবাসা গুলো নিংড়ে, তাহলে হয়তো কলেজ জীবনের উত্তর কলকাতার সরু গলি দিয়ে হেটে যাওয়া টা বা পকেটে কত খুচরো আছে সেই গুনে ফুচকা বা ৫ মিনিট দেখার জন্যে আধ ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকা, ওই সবগুলো আজও শুকিয়ে যেত না... বেঁচে থাকতো দেওয়ালে বাঁধানো ওই বিয়ের ছবির মধ্যেই।

- ঋতজ্যোতি রায় 

বন্দী

ধরা পড়েছি দুজনেই সেই মানুষের পাতা ফাঁদে তোর আঁখিতে বিষন্নতা আমার চোখে কাঁদে ঝুকে থাকা তোর বিমর্শ মুখ সান্তনা মুখে থামায় স্বাধীনতা দিতে পারিন...